Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
চিবে ঝরনা
কিভাবে যাওয়া যায়

এ স্থানে যেতে হলে প্রথমে উপজেলা সদর থেকে লুলাংছড়ি মোটর সাইকেলে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে  পায়ে হেঁটে চিবে ঝরনা যাওয়া যায়।

বিস্তারিত

ক্রমিক

নাম

বর্ণনা

চিবে ঝরনা:

নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের এক উপাখ্যান রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলা। সৌন্দর্য মোড়ানো এই উপজেলা যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। পাহাড়, ঝরনা কি নেই এখানে! জুরাছড়ির গহীন পাহাড়ে কি পরিমাণ রহস্য আর সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে তা স্বচক্ষে অবলোকন না করলে বুঝা সম্ভব না। এখানকার পাহাড়ি ঝিরি-ঝরনার সৌন্দর্য যেন ভূবন ভোলানো। এই উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য মনোমুগ্ধকর ঝরনা। তার মধ্যে একটি অপরূপ ঝরনা হলো চিবে পানছড়ি ঝরনা। এই ঝরনার ছোট ছোট ঝিরিগুলোর রূপ যেন দুর্গম পাহাড়ি অরণ্যে লুকানো এক সৌন্দর্যের খনি। মনোমুগ্ধকর এ ঝরনার অবস্থান হল উপজেলার ১নং জুরাছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে। পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা ৩টি পাহাড়ি ছড়ার সম্মিলিত রূপ হলো এ ঝরনা। ভূ-প্রকৃতির অপরূপ গঠন সৌন্দর্য এবং পাহাড়ি ছড়ার ¯্রােতধারা এ স্থানকে পরিণত করেছে সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমিতে। উপজেলা সদর থেকে এই ঝরনায় যেতে পায়ে হেঁটে যাওয়া হলো একমাত্র মাধ্যম এবং সময় লাগে প্রায় ৫-৬ ঘন্টা। যাত্রা পথে দেখা মিলবে বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট, যা যেকোন চঞ্চল মনকে শান্ত করতে বাধ্য। আঁকাবাঁকা খাড়া গিরিপথে হাঁটা যেমন কষ্টসাধ্য তেমনি রোমাঞ্চকরও বটে। আবার যাওয়ার পথে দেখা মিলতে পারে বিভিন্ন প্রাণি বৈচিত্র্য। পানছড়ির এই চিবে ঝরনাটি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে ভ্রমন পিপাসু এবং এডভেঞ্চার প্রেমীদের কাছে। অসাধারণ এই ঝরনার সাথে দেখা হবে সর্বশেষ ধাপে, যা চিবে পানছড়ি ঝরনা নামে পরিচিত। বর্ষায় এই চিবে ঝরনা খুব বিপদজনক হয়ে ওঠে। তাই বর্ষা শুরু কিংবা শেষের দিকে যাওয়ায় ভালো। উপরে উঠতে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অনেক পিচ্ছিল, একটু অসতর্ক হলে পড়ে হাত-পা ভাঙ্গার সাথে মৃত্যুর ভয়ও থাকে। কিন্তু বিপদ কাটিয়ে একবার উঠে গেলে চোখ ভরে যে সৌন্দর্য দেখা যায় তার তুলনা হয় না।