Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
পাংখোয়া স্বর্গপল্লী
স্থান

বনযোগীছড়া

কিভাবে যাওয়া যায়

এ স্থানে যেতে হলে প্রথমে উপজেলা সদর থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় (বর্ষা মৌসুমে) বনযোগীছড়া যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে মোটর সাইকেল বা পায়ে হেঁটে পাংখোয়া পাড়া যাওয়া যায়।

যোগাযোগ

বনযোগীছড়া

বিস্তারিত

ক্রমিক

নাম

বর্ণনা

পাংখোয়া স্বর্গপল্লী

পাহাড়, ঝিরি, বন আর কাপ্তাই হ্রদের অপরূপ সৌন্দর্যের নিখুঁত মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম পাংখোয়া পাড়া। স্থানীয়দের কাছে এটি বসন্ত মোন নামে পরিচিত। জুরাছড়ি এবং রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় এর অবস্থান। কথিত আছে প্রায় ৩০০ বছর পূর্ব থেকে পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর এই এলাকায় বসবাস। ২৯টি পাংখোয়া বসতি নিয়ে আকাশ ছুঁয়ে যেন দাঁড়িয়ে আছে এই বসন্ত মোন। এটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬১০ ফুট উপরে অবস্থিত। এখান থেকে পূর্বে জুরাছড়ি উপজেলা আর ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা, উত্তরে বরকল এবং দক্ষিণে কাপ্তাই ও বিলাইছড়ির প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করা যায়। ছবির মত সুন্দর এই পাহাড়টি থেকে চারদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে এক মুহুর্তের জন্য মনে হতে পারে এ যেন কোন এক ভূ-স্বর্গ। ক্যাথলিক আর ব্যাপ্টিস্ট দুটি গির্জা আছে পাড়ার শুরু আর শেষ প্রান্তে, যেখানে পাংখোয়ারা তাঁদের ধর্মীয় রীতিনীতি ও উৎসব পালন করে। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে দন্ডায়মান রয়েছে দোতলা মাচাং ঘরগুলো, সহসায় যেন এখানে ধরা দেয় মেঘের দল। পাংখোয়া পল্লীর চারপাশে তেঁতুল, বটবৃক্ষ, নারিকেল গাছের প্রাকৃতিক বেষ্টনী। ধবধবে জ্যোৎ¯œায় এমন একটি পাড়ায় রাত যাপনটা সত্যিই স্বপ্নের মতোই আনন্দের। পাংখোয়াদের বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, খাবার-দাবার, নিজস্ব সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সাথে মেলবন্ধন জুরাছড়ি উপজেলায় অনন্য এক রূপ সৃষ্টি করেছে। এ স্থানে যেতে হলে প্রথমে উপজেলা সদর থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় (বর্ষা মৌসুমে) বনযোগীছড়া যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে মোটর সাইকেল বা পায়ে হেঁটে পাংখোয়া পাড়া যাওয়া যায়।